আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিনি আমারাসুরিয়াকে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিক বিজিথা হেরাথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আমারসুরিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন দিশানায়েকে। আমারসুরিয়া তার দলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং সিরিমাভো বন্দরনায়েকে ও চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার পর তৃতীয় নারী, যিনি লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলেন।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার সাধারণ নির্বাচনে ২২৯ আসনের মধ্যে অনূঢ়ার বামপন্থি জোট ১৫৯টি আসন পেয়েছে। সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ছাড়া নতুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন দিশানায়েকে।
সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার পর থেকে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজেই চালাচ্ছেন দিশানায়েকে। সোমবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এই মন্ত্রণালয় তিনিই পরিচালনা করবেন।
শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে বছরের পর বছরে ধরে পারিবারিক আধিপত্য চলেছে। তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিশানায়েকে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে সেই প্রথার অবসান ঘটেছে। গত সেপ্টেম্বরে দিশানায়েকে প্রধানমন্ত্রী পদে আমারাসুরিয়াকে নির্বাচিত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন হেরাথকে। নতুন সরকারে তিনি তাদেরকেই পুনর্নিয়োগ দিলেন।
সেপ্টেম্বরে অনূঢ়া যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন দেশটির পার্লামেন্টে তার নির্বাচনী জোট এনপিপির আসন ছিল মাত্র তিনটি। পার্লামেন্টে নিজ জোটের আসনসংখ্যা বাড়াতে তিনি আগাম নির্বাচন দেন। গত ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে তাঁর জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
২০২২ সালের জুলাই মাসে অর্থনৈতিক সঙ্কটের আবহে প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা ও তার ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটাভুটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রনিল। কিন্তু যে অর্থনৈতিক সঙ্কট রাজাপাকশের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভকে উসকে দিয়েছিল, তা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি রনিল।
রনিলের নেতৃত্বে অনাস্থা জ্ঞাপন করে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৫৬ বছরের অনূড়াকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেয় শ্রীলঙ্কার জনগণ। প্রেসিডেন্ট হয়েই পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন নির্বাচনের জন্য সক্রিয় হন তিনি ও সফলতা লাভ করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর, পার্লামেন্ট নির্বাচনেও জয় পায় তার নেতৃত্বাধীন জোট। -সূত্র: রয়টার্স
আরএস