নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ১১:০৩ এএম
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর লেবাননে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। বুধবার ভোর থেকেই এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন দেশটির বাসিন্দারা, পাশাপাশি নিজেদের ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তারা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। বুধবার ভোর ৪টার দিকে এটি কার্যকর হয়। এর ফলে দক্ষিণ লেবাননের বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে শুরু করেছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। তবে তাদের সতর্কতা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবাননে পাড়ি দিয়েছে।
লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরি বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, আমি আপনাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি।
টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তকে নাবিহ বলেন, ধ্বংসস্তূপের ওপর বসবাস করতে হলেও আপনারা নিজেদের ভূমিতে ফিরে আসুন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রাথমিক অবস্থায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে আরও বাড়ানো হতে পারে।
নেতানিয়াহু বলেন, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
চুক্তি অনুসারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েল তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত থেকে সরে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে সরে যাবে। এ ছাড়া তারা নতুন করে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ বা নিজেদের পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেলআবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিআরইউ