আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। দেশটিতে শতাধিক প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। এদিকে, ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভবন ধসে ৭০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পের আঘাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
মিয়ানমারের মান্দালয়ে অবস্থিত একটি উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য বিবিসিকে জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি এবং মৃত্যুর সংখ্যা অনেক। হতাহতদের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, তবে এটি অন্তত শতাধিক হতে পারে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে মিয়ানমারে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, শুক্রবারের নামাজের সময় মান্দালয় অঞ্চলের শ্বেফোশিং মসজিদ ধসে অন্তত ২০ জন এবং টাংগু শহরের একটি মঠ ধসে পড়ে আরও পাঁচজন বাস্তুচ্যুত শিশু নিহত হয়েছেন।
একজন উদ্ধারকর্মী বলেন, "নামাজের সময় প্রায় তিনটি মসজিদ ধসে পড়ে। সেখানে মানুষ আটকা পড়ে। এতে অন্তত ২০ জন মারা গেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।" আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারে যে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়েছিল তা থাইল্যান্ডেও অনুভূত হয়েছে, যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বাড়ছে।
থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন জানিয়েছে, নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসের ঘটনায় আগে যেখানে ৪৩ জন নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা বেড়ে ৭০ জনে পৌঁছেছে। ধসের সময় সেখানে প্রায় ৩২০ জন কর্মী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ২০ জনের মতো লিফটে আটকা পড়েছেন।
উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির তদন্ত করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ সমন্বয় শুরু করবেন।
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে, যা রাজধানী নেপিডো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এরপর আরও বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয় আশপাশের অঞ্চলে।
ইএইচ