এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিলো রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রুশ সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে তালেবানের ওপর দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। রায় কার্যকর হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে।
এই পদক্ষেপের ফলে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার পথ খুলে গেল। যদিও এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে কোনো দেশই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি, তবে রাশিয়া ধীরে ধীরে গোষ্ঠীটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর বলেছিলেন, তালেবান এখন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে রাশিয়ার মিত্র হিসেবে কাজ করছে।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তালেবান কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপকে আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হিসেবে দেখছে। কাবুলে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো এগিয়ে নেওয়ার একমাত্র বাধা দূর হয়েছে।
রাশিয়া ২০০৩ সালে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হুমকি মোকাবিলায় রাশিয়া তালেবানের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছে।
২০২৪ সালের মার্চে মস্কোর বাইরের একটি কনসার্ট হলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় ১৪৫ জন নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, হামলার পেছনে ছিল আইএসের আফগান শাখা আইএসআইএসকে।
তালেবান দাবি করেছে, তারা আফগানিস্তানে আইএস নির্মূলে কাজ করছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, তালেবানের নারী অধিকার লঙ্ঘনের কারণে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ এখনও বন্ধ।
তালেবান নারীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, পাশাপাশি পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাইরে চলাফেরার ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।
বিআরইউ