আগস্ট ৩, ২০২২, ০৮:০৩ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দুই মামলায় তিন জেলার ২২ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। শিগগিরই প্রতিবেদন দুটি প্রসিকিউশন শাখায় দাখিল করা হবে।
বুধবার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে ৮৪ ও ৮৫তম প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক।
সংবাদ সম্মেলনে সানাউল হক বলেন, যশোরের বাঘারপাড়া থানা ও কোতোয়ালী থানার ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শেষ হয়েছে। এ মামলায় জব্দ তালিকার ২ জনসহ ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এ মামলার ১৫ আসামির মধ্যে ইতোমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ডা. লুৎফর রহমান, খয়বার রহমান, নুরুল ইসলাম ওরফে নুর ইসলাম, আবুল হোসেন বিশ্বাস, আবু বকর ওরফে আবু বক্কার মোল্লা ও হোসেন আলী মোল্যা। বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। আর বর্তমানে হোসেন আলী জাতীয় পার্টি এবং বাকিরা বিএনপির সমর্থক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপর প্রতিবেদনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল ও কোতোয়ালী থানা এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার ৭ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চুড়ান্ত করা হয়েছে।
এ মামলায় আসামি শহীদুল্লাহ, হাবিবুর রহমান ওরফে মেনু মিয়া, আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বাকি চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আমারসংবাদ/টিএইচ