আগস্ট ২১, ২০২২, ০৪:৩১ পিএম
উসকানিমূলক এবং মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এমন সংবাদ ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে রোববার (২১ আগস্ট) ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান ডাক ও ইমেইলে এই নোটিশ পাঠান।
তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসিবিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, তারা অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা এবং জনজীবনের জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে যা সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৮ এবং ৪৪ ধারার লঙ্ঘন।
বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭ এ এর ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ১৩, ১৬, ২৫ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।
নোটিশে আরো বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে।
এতে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা ও দেশে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশে এমন কাজ করা হচ্ছে।
নোটিশে দাবি করা হয়, বিটিআরসি ও ডিএসএর স্পষ্ট নীতি ও ফেসবুক-ইউটিবের সাম্প্রতিক রেগুলেশন না জানার কারণে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এসব ভিডিও তাদের নিজেদের নীতি পরিপন্থী।
ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান বলেন, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াগুলো অবশ্যই আমাদের বাক স্বাধীনতা চর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে বাক স্বাধীনতার চর্চার নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আমরা যেন সহিংসতা এবং নাশকতাকে উৎসাহিত না করি।
এ বিষয়ে অবশ্যই বিটিআরসি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আরো সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
আমারসংবাদ/টিএইচ