Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,

ডিআইজি বজলুর রশীদের ৫ বছরের কারাদণ্ড

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ২৩, ২০২২, ১২:৩৫ পিএম


ডিআইজি বজলুর রশীদের ৫ বছরের কারাদণ্ড

তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) বজলুর রশীদের ৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পে ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের দাম বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে, ফ্ল্যাটের দাম পরিশোধ করা ওই অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।

এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে কোনো তথ্য নিজের আয়কর নথিতে দেখাননি বজলুর রশীদ। ওই তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্বরত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড দিয়ে তাকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর যুগান্তরের প্রথম পাতায় ‘বেপরোয়া ডিআইজি প্রিজন্সের ঘুসকাণ্ড, স্ত্রী কুরিয়ার সার্ভিসে নেন কোটি কোটি টাকা’শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে একটি ভিডিও ক্লিপের কিউআর কোডও প্রকাশ করা হয়েছে। বজলুর রশীদের স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের নামে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত ০১৮৫৬৫৫৩৫৮নং মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করা হয়েছে। এই সিম নাম্বারে বিভিন্ন সময়ে এসএ পরিবহণের মাধ্যমে তৌহিদ হোসেন, বিথি ও দুলালের নামে ৩০টি রসিদে ৯৮ লাখ ৩৫০ টাকা পাঠানো হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে প্রকাশিত সংবাদে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে বজলুর রশীদ সরাসরি জড়িত।

চাকরি ক্ষেত্রে এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক অসদাচরণ। এ ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নং ০৯/২০২ রুজু করা হয়। এ বিষয়ে ২ মার্চ ২০২০ তারিখে স্মারক উল্লেখ করে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠানো হয়।

ইএফ

Link copied!