নভেম্বর ১৬, ২০২২, ০১:০৪ পিএম
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় চীনা নাগরিক দি সিনফা নিটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াং ওয়াং চুং ও এমডি খসরু আল রহমানসহ ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর একই বিচারকের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১৬ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—দ্য সিনফা নিটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান চীনা নাগরিক ইয়াং ওয়াং চুং, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক খসরু আল রহমান, পরিচালক গোলাম মোস্তফা ও মনসুরুল হক, ন্যাশনাল ব্যাংক দিলকুশা শাখার প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (রপ্তানি) আব্দুল ওয়াদুদ খান এবং প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরী।
চীনা নাগরিক ইয়াং ওয়াং চুং ও খসরু আল রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের ৩ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্য একটি ধারায় ১ বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মনসুরুল হক ও গোলাম মোস্তফাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ব্যাংক লি. দিলকুশা শাখার তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এক্সপোর্ট) আব্দুল ওয়াদুদ খান ও তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীকে এক ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় এক বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে একটি জাল দলিল তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক রাখেন। দীর্ঘদিন ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার নিশ্চয়তা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন।
এরপর ব্যাংকের দায়দেনা বাবদ দুই কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা পরিশোধ না করে গা-ঢাকা দেন। যাতে ব্যাংক জাল-জালিয়াতির কাগজপত্র দিয়ে গ্রহণকৃত বন্ধকী জমি বিক্রি করে তাদের টাকা উদ্ধার করতে না পারে। তাদেরও কোনো হদিস করতে না পারে। আর এর ফলে প্রকৃত জমির মালিকও হয়রানির শিকার হন।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। একই কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৪ জুন চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালীন ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
ইএফ