নভেম্বর ২১, ২০২২, ০২:১০ পিএম
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবির দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে আদালতে দায়িত্বে থাকা পুলিশের পরিদর্শকসহ পাঁচ পুলিশকে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ (পরিদর্শক) নাহিদুর রহমান ভুইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, পুলিশ সদস্য শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।
সোমবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, তারা জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাস্থল এবং আশপাশ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছেন। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতে আসা ১২ জঙ্গির মধ্যে দুজনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকির ১০ জনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে টহল বাড়ানো হয়েছে। অলিগলির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা হচ্ছে। খুব শিগগিরই এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান হারুন অর রশীদ।
ছিনিয়ে নেওয়া দুজন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সদস্য। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এই জঙ্গি সংগঠনের নেতা মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক। যার পরিকল্পনায় ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একাধিক লেখক, প্রকাশক, ব্লগার ও সমকামী অধিকারকর্মীকে হত্যা করা হয়।
টিএইচ