নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০২:৪৪ পিএম
রাঘববোয়াল রেখে চুনোপুঁটি ধরায় দুদক ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৭ নভেম্বর) শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলায় ব্যাংকটির সাবেক কর্মকর্তা এ এস এম হাসানুল কবিরের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলাটি ২০১৩ সালে করা হয়। কিন্তু এতোদিনে মামলাটির তদন্ত শেষ না হওয়ায় হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
দুদককে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট এসময় বলেন, ঋণখেলাপিরা আইনের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তাহলে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন?
আদালত জানান, হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে খেলাপি হচ্ছে, আপনারা (দুদক) ধরছেন না কেন? যারা বড় বড় ঋণখেলাপি তারা কি বিচারের ঊর্ধ্বে থাকবে? যারা অর্থশালী তারা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? যারা অর্থশালী তারা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? দুদক রাঘববোয়ালদের নয়, শুধু চুনোপুঁটিদের ধরতে ব্যস্ত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
দুদক সূত্র জানায়, ব্যাংক কর্মকতাদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে গ্রুপটি ঋণ জালিয়াতি করে। এ ঘটনা অনুসন্ধানে ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। ওই বছরের ৩ নভেম্বর ১২ মামলায় ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
অভিযোগ রয়েছে, বিসমিল্লাহ গ্রুপ জনতা ব্যাংক থেকে ৩৯২ কোটি ৫৭ লাখ, প্রাইম থেকে ৩০৬ কোটি ২২ লাখ, যমুনা ব্যাংক থেকে ১৬৩ কোটি ৭৯ লাখ, শাহজালাল ব্যাংক থেকে ১৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ও প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ৬২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেয়।
টিএইচ