যে কারনে জামায়াত আমির গ্রেপ্তার

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ছেলের সঙ্গে কুকি চিনের সম্পর্ক ছিল। ছেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সিটিটিসি জানায়, জামায়াতের আমিরের ছেলে গ্রেপ্তার ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন।

২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদের জন্য রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’ উভয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিজরত (একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন) করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ডা. রাফাত।

এদিকে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এ আবেদন করেছে।

যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এ রিমান্ড শুনানি হবে।

ইএফ/টিএইচ