ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ০৪:৫৯ পিএম
বিএনপি নেতার মায়ের জানাজায় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখার ঘটনাকে অমানবিক, সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকার পরিপন্থী বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আর যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজমের মায়ের মৃত্যু এবং এর জন্য তার প্যারোলে মুক্তির বর্ণনা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্যারোলের পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ি পড়া অবস্থায় ছিলেন তিনি।
এমনকি জানাজা পড়ানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও, তা খুলে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কমিশন মনে করে, ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার পরও একজন বন্দিকে মায়ের জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া কেবল অমানবিকই নয় বরং বাংলাদেশের সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। ’
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বা দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো বিষয়ক উচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে সেটিও এক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়নি, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ’
আলী আজম গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গত ২৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন আলী আজম।
টিএইচ