জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০২:২৯ পিএম
সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে, এতে সরকারের ৫৮২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তা অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশন (বিসিআইসি) চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অনুসন্ধান করে ৬০ দিনের মধ্যে দুদককে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে এ অভিযোগের বিষয়ে ২০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন।
‘৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এ সময় আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে ডিএজি মানিক বলেন, ‘৭২ হাজার মেট্রিক টন সার আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদককে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বিসিআইসি চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে আসে আদালতের। এতে সরকারের ৫৮২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
টিএইচ