জানুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৩:০৫ পিএম
দুবাইয়ে ৪৫৯ জন বাংলাদেশির হাজারের বেশি প্রপার্টি কেনার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে একমাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) এসংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। এছাড়া আদালত দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার সম্পাদককে ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশীর হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে প্রকাশিত তাদের সংবাদের সত্যতা বিষয়ে একটি এভিডেভিট আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
১০ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।
২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি সম্পত্তি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। কাগজে-কলমে এর মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
টিএইচ