নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খাতনা করাতে গিয়ে মারা যায় শিশু আয়ান। তার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনটি আইওয়াশ ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। হাইকোর্ট বলেছেন, চিকিৎসায় অবহেলা দেখছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আইওয়াশ।
সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লা-শ হয়ে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেরে শিশু আয়ান। তার মৃত্যুতে অতিরিক্ত অ্যানেস্থেশিয়া দেয়ার অভিযোগ তোলে পরিবার। তবে এ ঘটনায় দেয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে নেই মৃত্যুর কারণ। এমনকি মৃত্যুর জন্য কাউকে সরাসরি দায়ীও করা হয়নি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল অধিদপ্তর। আজ তার শুনানি হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খতনার অপারেশনের আগে আয়ানকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেয়ার বিষয়টি চিকিৎসককে জানায়নি পরিবার। অপারেশনের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয় তার। আয়ানের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে বলা হয়নি সেখানে। এমনকি কাউকে সরাসরি দায়ীও করা হয়নি। শুধুমাত্র ভবিষ্যতে এ ধরনের মৃত্যু ঠেকাতে চার দফা সুপারিশ করে দায় সেরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি।
তবে আয়ানের পরিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর মামলা তুলে নিতে হুমকি আসায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় জিডি করেছেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ।
এদিকে শিশু আয়ানের মৃত্যুর পর ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা নানা অনিয়ম ও অভিযোগ নিয়ে একজোট হচ্ছেন।
আইনজীবী জানান, তিন মাসের মধ্যে গত ১৫ বছরের খতিয়ান ইউনাটেড হাসপাতালের কাছে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
তবে রোববার এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরইমধ্যে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়া হয়। হাইকোর্ট থেকে কী রায় দেয়, সেটা দেখেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর খতনা করানোর জন্য শিশু আয়ানকে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার অভিভাবক। সকাল ৯টার দিকে শিশুটিকে অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেসথেসিয়া দেয়া হয়। পরে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আয়ানের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরএস