নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
সরকারি কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
এ মামলাটি দায়েরের পর সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বরখাস্ত হন। তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। এরপর আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় তার আত্নীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান।
ভুক্তভোগী ওই নারী আরও জানান, সোহেল উদ্দীন আগেও বিয়ে করেছিলেন। ওই স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় সাময়িক বরখাস্তও হন।
আতিফ/ইএইচ