Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

হলমার্ক কেলেঙ্কারি

ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলার রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০১:২০ পিএম


ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলার রায়

হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের করা মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য ছিল। 

এ মামলায় আদালত, নতুন কোনো রায়ের তারিখ দেয় নাই।তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এবং আদালতে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।এবং আগামী ৪ মার্চ দুই ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করবে আদালত।রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এটি জানান।

বুধবার  (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মোঃ আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের  যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার  এ দিন ধার্য করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ। এছাড়াও আসামি রয়েছেন টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিযা, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

আরও রয়েছেন সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন বা রূপসি বাংলা শাখার সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি। সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম অফিসের জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন এবং এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান।

এর মধ্যে আসামি জামাল উদ্দিন সরকার, আলতাফ হোসেন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া সাইফুল, মতিন, হুমায়ুন, গোপাল নাথ, তসলিম, সাইফুল, মেরী ও জাকারিয়া পলাতক রয়েছেন। 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে সুতা রফতানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রফতানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ  জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা  হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভির ও তার স্ত্রী তুলে নেন। 

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক।

২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।

বিআরইউ

Link copied!