ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
সাজার মেয়াদ শেষেও কারাবন্দি ১৫৭ বিদেশিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত ২১ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের কারাগারগুলোতে বিভিন্ন অপরাধে সাজা খাটা শেষে প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় থাকা ১৫৭ জন বিদেশি কারাবন্দি রয়েছেন।
এর মধ্যে ১৫০ জন ভারতের, পাঁচজন মিয়ানমারের ও একজন করে পাকিস্তান ও নেপালের নাগরিক রয়েছেন। ১৫৭ জনের মধ্যে প্রায় ১৯ জন নারী।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, সাজা খাটা হলেও সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে এসব ব্যক্তিকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।
জানা যায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর থানার বাসিন্দা গোবিন্দ উড়িয়াকে (২৬) আটক করে বিজিবি। ওই দিনই তাকে শ্রীমঙ্গল থানায় সোপর্দ করে তার নামে মামলা করা হয়। তদন্তের পর একই বছর ৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তবে এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার। রিটে গোবিন্দ উড়িয়ার কারামুক্তি ও তার প্রত্যাবাসনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়। এরপর গত ১৫ জানুয়ারি রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, কারাবন্দি এই বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২, পাসপোর্ট আইন, ১৯৫২ সালেও মামলায় হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে।
এইচআর/বিআরইউ