Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪,

শেখ হাসিনাসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগ

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম


শেখ হাসিনাসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাইয়ে চট্টগ্রামে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় চট্টগ্রামে নিহত ফয়সাল আহমেদের বাবা জাকির হোসেন এ অভিযোগ দায়ের করেন।

উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মাহতাব উদ্দিন আহমদ, আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৮ ধারা অনুসারে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪ (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এদিকে ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ২০ আগস্ট মাছুমা নামে একজন নারী বাড্ডা থানায় মামলা করেন। ২১ আগস্ট দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিয়াজুল হক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবুসহ ১৮০ জন।

মামলার এজহারে মাছুমা উল্লেখ করেন, ১৯ জুলাই ১২টার দিকে তার ছেলে কর্মস্থলে উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বাহির হন। উক্ত সময় উত্তর বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশের প্রগতি স্বরণী রাস্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার কোটাবিরোধী মিছিল হচ্ছিল। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় আমার ছেলে প্রথমে আহত ও পরে মৃত্যুবরণ করে।

আরএস

Link copied!