Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫,

শিশু আয়ানের মৃত্যু

চিকিৎসক ও ইউনাইটেড হাসপাতালকে দায়ী করে প্রতিবেদন

আদালত প্রতিবেদক

আদালত প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ১১:৫০ পিএম


চিকিৎসক ও ইউনাইটেড হাসপাতালকে দায়ী করে প্রতিবেদন

রাজধানীর সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার করাতে গিয়ে পাঁচবছর বয়সি শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এর ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তে চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবিন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট সৈয়দ সাব্বির আহমেদের দায়ের বিষয়টি উঠে আসে।

কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ওই দুই জনের পাশাপাশি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া আয়ানের বাবা-মাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং অনুমোদনহীন সব হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করারও সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়ানের খতনা হয়। তখন তাকে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি শিশু আয়ান মারা যায়। ভুল চিকিৎসা এবং অবহেলার কারণে আয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ।

পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি শিশু আয়ান আহমেদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পাশাপাশি দেশের সব সরকার অনুমোদিত ও অননুমোদিত হাসপাতাল ক্লিনিকের তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

এছাড়া ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইউনাইটেড গ্রুপের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে এ পর্যন্ত কত রোগী মারা গেছেন, তাও জানতে চান হাইকোর্ট।

আদালতের আদেশে আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট লোকদেখানো (আইওয়াশ) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

পরে গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করে দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। কমিটিতে তিন জন চিকিৎসক, দুই জন সিভিল সোসাইটির ব্যক্তি ও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাখা হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর পুরো ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

সোহওয়ার্দী হাসপাতালের অধ্যাপক ডাক্তার এ বি এম মাকসুদুল আলমকে এ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কমিটি।

সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে উচ্চ আদালত ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ইএইচ

Link copied!