আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
পঞ্চগড়ে সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আকতার জুলিয়েট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া আল আমিন নামে এক ইজিবাইকচালককে হত্যার পর লাশ গুমের মামলার প্রধান আসামি সুজন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এক ঘণ্টার শুনানিতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকালে পুলিশি নিরাপত্তায় সুজনকে নিয়ে এলে আদালত চত্বরে লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
জানা গেছে, পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ৪ আগস্ট নিখোঁজ হন আল আমিন নামে এক ইজিবাইকচালক। এ ঘটনায় তাঁর বাবা মনু মিয়া গত ১০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা করেন। এ মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আদম সুফি, জিপি আব্দুল বারী, এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান, আইনজীবী হাবীব আল আমিন ফেরদৌসসহ অন্তত ১০ জন অংশগ্রহণ করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন– মির্জা সারোয়ার হোসেন, সাবেক পিপি আমিনুর রহমান, আজিজার রহমান আজু, আবু বক্কর সিদ্দিক, আলী আসমান বিপুলসহ ১০ থেকে ১২ জন আইনজীবী।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, সাবেক রেলমন্ত্রী মোবাইল ফোনে গুম ও পরে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সে রেকর্ড বের করা সম্ভব। মামলার বাদী একটি এফিডেভিট দিয়েছেন; যাতে তিনি বলেছেন, আসামি সুজনকে তিনি চেনেন না। তাঁর জামিনের আবেদন করলেও আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি আদম সুফি বলেন, ‘যেহেতু ভুক্তভোগীকে বা তাঁর লাশ পাওয়া যায়নি, তাই রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামির রিমান্ড প্রয়োজন। এটি আদালত অনুধাবন করায় রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামিপক্ষ যে এফিডেভিট দেখিয়েছে, তাতে কোনো সাক্ষীর স্বাক্ষর নেই। এ মামলা কোনোভাবেই আপসযোগ্য নয়।’ এর আগে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনকে কড়া নিরাপত্তায় পঞ্চগড় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
আরএস