আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপিকর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১) হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি-মন্ত্রী, ঢাকার সাবেক দুই মেয়র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নির্বাচন কমিশনার, আইনজীবীসহ ৪০৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলাটিতে অভিনেতা ইরেশ যাকেরকেও আসামি করা হয়েছে। রোববার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গত ২০ এপ্রিল নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আমার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবন বিএনপির দলীয় কর্মী। সে রেনেটা কোম্পানিতে ক্যাজুয়াল হিসাবে অনুমান ৬ মাস ধরে চাকরিতে নিয়োজিত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় আমার ভাই ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্রদের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিত।
ঘটনার দিন গত ৫ আগস্ট দুপুরে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের চূড়ান্ত পতনের লক্ষ্যে বেলা আড়াইটার সময় ছাত্র-জনতার মিছিল মিরপুর মডেল থানার মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স ও মিরপুর মডেল থানার মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় আসামিদের নির্দেশে তাদের দলীয় আরও পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী একত্রে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়।
তারা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, রাইফেল, শটগান, পিস্তলের গুলি বর্ষণ করে এবং ককটেল ও হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আসামিদের গুলি বর্ষণের ফলে আমার ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবন বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মিরপুর মডেল থানার প্রধান গেটের সামনে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। আমার ভাইসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে আসামিদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ আমার ভাইকে চিকিৎসার জন্য রিকশাযোগে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সময় মৃত ঘোষণা করেন।
আরএস