Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫,

আপসে শেষ ধর্ষণ মামলা

প্রিন্ট সংস্করণ॥শরিফ রুবেল

জানুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৯:১১ পিএম


আপসে শেষ ধর্ষণ মামলা
  • ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে ধর্ষণ বেড়েছে দ্বিগুণ
  • নারী ও শিশু নির্যাতনে সাজার হার ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ
  • নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার ৫২ ভাগই ধর্ষণের দখলে
  • উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত ধর্ষণের ১১৩৯টি মামলা
  • নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৯৯ ভাগ আসামি খালাস
২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট। দিনটি ছিলো দুটি পরিবারের কাছে সবচেয়ে ভয়ংকর ও বিভৎস। সেই দিনেই মাদারীপুরের মোস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ও তার সহপাঠী হ্যাপীকে ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়। ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আদালতে দুটি পৃথক মামলা করেন নিহতদের পরিবার। মামলা নং ২৩/২৪/২০১৫। কিন্তু ন্যায় বিচারতো দূরের কথা বরং মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছিল তারাই নেই মামলার আসামির তালিকায়। মামলা দুটিতে আলাদাভাবে তদন্ত শেষে পুলিশ ও সিআইডির কর্মকর্তারা মূল অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে নারাজি দেয় বাদি। এভাবেই তদন্ত কর্মকর্তার হেয়ালিপনায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারের আওতায় আসেনি অভিযুক্তরা। নিহতের পরিবারের দাবি— আসামিদের বাঁচাতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা তালিকা থেকে অপরাধীদের বাদ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা বলছেন, দেশে এমনিতেই ধর্ষণ মামলার বিচারের হার খুবই কম। তার ওপর তদন্ত কর্মকর্তার আসামিকে বাঁচানোর প্রবণতা এসব মামলাকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে। শুধু সুমাইয়া হ্যাপী নয় দেশব্যাপী ধর্ষণের মহোৎসব চলছে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা। ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশু ও বৃদ্ধরাও। এমনকি রেহাই পাচ্ছেন না বাকপ্রতিবন্ধী বা পাগলও। অপরাধীদের রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি, তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা ও সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ভিকটিমকে হয়রানির কারণেই ধর্ষণ মামলার বিচার হয় না। মূলত মামলার ধীরগতি ও বাড়তি ঝামেলা এড়াতে লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতার পরিবার আসামির সাথে সমঝোতার কারণে ধর্ষণ মামলার অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ার পেছনে বড় একটি কারণ হিসাবে ধরা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ধর্ষণের শিকার নারী-শিশু দরিদ্র পরিবারের। আর্থিক প্রলোভনে তারা সমঝোতা করে। সামাজিকভাবে লজ্জা ও ভয়েও মীমাংসায় আগ্রহী হয় তারা। আবার অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরীক্ষা বা প্রমাণ সংগ্রহের অভাবেও ভিকটিমের পক্ষে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন তারা বাধ্য হয়েই অভিযুক্তের শর্ত মেনে সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের হওয়া মামলার বিচারের ধীরগতির জন্য পুলিশের গাফিলতি ও আদালতের কাঠামো অনেকাংশে দায়ী। বিচারক সংকট, সাক্ষী গরহাজিরসহ নানা কারণে এ-সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর ধর্ষণের মামলায় সাজার নজির খুব কম তাই অপরাধীরা এসব অপরাধ করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেন না। সুতরাং বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে পারলেই এসব অপরাধ কমানো সম্ভব হবে বলে মত দেন তারা। অন্যদিকে নারী ও শিশু নিয়ে সোচ্চার সংগঠনগুলোর মতে, ‘ধর্ষণ’ সংজ্ঞায়িত করা হয় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি অনুযায়ী। আইনে বলা আছে যে, একজন যদি ধর্ষণের অভিযোগ করেন, তাহলে বিচারের সময় তার চরিত্র নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন করা যাবে। আদালতের এই জেরা ‘দ্বিতীয়বার ধর্ষণের’ মতো। ধর্ষণের মামলা নিয়ে যেসব নারী আদালতে দাঁড়িয়েছে তাদের অনেকেরই অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। তাদের দাবি— মামলা পরিচালনার এই সময়ের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায় একজন নারীকে প্রমাণ করতে হয় তিনি নির্যাতিতা বা তিনি ধর্ষিতা। এছাড়া ধর্ষণের বিচার পেতে পদে পদে হয়রানি আর অবমাননা ছাড়াও আদালতের কাঠগড়ায় মডেস্টি প্রমাণ করতে ক্ষতবিক্ষত করা হয় হাজারো প্রশ্নে। যারা এই চড়াই-উৎরাই পেরোন, উচ্চ আদালতে তাদের যাওয়ার হার খুবই কম। আইন ও সালিশকেন্দ্র আসকের ধর্ষণের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে— ২০১৯ সালে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১ হাজার ৪১৩ জন নারী। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৩২ জন। এক বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালের ধর্ষণ বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮১৮ নারী। এদিকে ২০১৯ সালে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৬ জনকে। আর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ১০ নারী। নারীর প্রতি সহিংসতার অন্য চিত্রগুলোও ভয়াবহ। ২০১৯ সালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ২৫৮ জন নারী। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭০ জন। ২০১৯ সালে যৌন হয়রানির শিকার ১৮ জন নারী আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে চারজন নারীসহ ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছে। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৪৪ পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মামলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এক হাজার ৭৯৯টি। একই সময় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে ১২৫টি। ধর্ষণের ঘটনায় ছেলেশিশুর সংখ্যা ছিল ৩৮, কন্যাশিশু ৫৫৮ ও প্রাপ্তবয়স্ক নারী এক হাজার ৩১৮ জন। মামলায় এজাহারনামীয় অভিযুক্তের মধ্যে ছেলেশিশু ৮৫ জন। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ দুই হাজার ৯৯৮ জন। অপরদিকে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছে ঢাকায়। এই জেলায় দুই হাজার ৫০০টি নতুন মামলা আদালতে যুক্ত হয়েছে। এদিকে দেশে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল গঠন করলেও এখনো এসব ট্রাইব্যুনাল মামলা নিষ্পত্তিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। নারী ও শিশু নির্যাতনে অভিযুক্তদের সাজার হার খুবই কম। পরিসংখ্যান বিশ্নেষণে দেখা গেছে, এ ধরনের মামলায় মাত্র ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ ঘটনায় সাজা পেয়েছে। আর ধর্ষণ মামলার তদন্তে ১৩টি জায়গায় অনেক সময় ভুল করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশজুড়ে নারী-শিশুর ওপর নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার ৫১ দশমিক ৬২ ভাগই ধর্ষণের দখলে। ধর্ষণ মামলার পরিসংখ্যান বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি মাসে অন্তত ৫৯৯টি ধর্ষণ ঘটে। মামলার হিসাবে মাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে ৪১টি। তবে ধর্ষণের সঠিক সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী মানসম্মানের ভয়ে মামলা করেন না। সুপ্রিম কোর্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশের নিম্ন আদালতে বর্তমানে এক লাখ ৬৫ হাজার ৩২৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ২৩৩টি মামলা পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। এছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত থাকা মামলার সংখ্যা এক হাজার ১৩৯টি। এর বাইরে শিশু আদালতে বিচারাধীন আরও ১৫ হাজার ১৮৯টি মামলা। সব মিলিয়ে দেশে এ মুহূর্তে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার ৫১৬টি মামলা। এদিকে গত ১৮ জুলাই ধর্ষণের মামলা বিচারকাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময় ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। কিন্তু উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনার দীর্ঘ ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এর কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। একইসঙ্গে দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনালগুলোতে বিচারাধীন ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা মামলার বিচারে ৭টি নির্দেশনাও দেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা যায়, বিচারের ধীরগতির কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার জট কেবলই বাড়ছে। এ সুযোগে অধিকাংশ আসামি মামলার বিভিন্ন প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হয়ে ঘুরছে। এসব আসামির অনেকে প্রভাবশালী হওয়ায় বাদি অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বাদিকে হুমকি বা অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে নাজেহাল করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে সাক্ষ্য-প্রমাণের ঘাটতি মেনে নিয়ে আপস-মীমাংসায় বাধ্য হচ্ছেন। নারীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা নারীপক্ষের সর্বশেষ এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় ৯৮ দশমিক ৬৪ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে পাচ্ছে। সাজা হয় মাত্র ১ দশমিক ৩৬ ভাগ আসামির। বাদি ও আসামিপক্ষের আপস-মীমাংসা, বিচারের ধীরগতি, তদন্তে গাফিলতি, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, সাক্ষীর আদালতে হাজির না হওয়া, যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না থাকাসহ নানা কারণে এসব মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ঢাকার দুটি এবং জামালপুর, ঝিনাইদহ, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাটের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের ৬০টি মামলা পর্যালোচনা করে বিশ্নেষণমূলক এ প্রতিবেদন তৈরি করে নারীপক্ষ। এদিকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০১৯ সালে দেশে প্রতি ঘণ্টায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। তবে পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে তারা এ সংখ্যা জানায়। যদিও এমন অনেক ঘটনা অন্তরা লেই থেকে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতনের মাত্রা যে ভায়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা দেখে মনে হয় সমাজ একটি বিবেকহীন, পাশবিক বৈকলাঙ্গের দিকে এগুচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক আইন, নারী ও মানবাধিকার সংগঠন, সরকারের প্রচেষ্টা থাকার পরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ হচ্ছে, নারীর চরম নিরাপত্তাহীনতায় যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। আইন ও সালিশকেন্দ্র (আসক) আসকের সিনিয়র উপ-পরিচালক নীনা গোস্বামী বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই মামলা আগাচ্ছে না। তাড়াতাড়ি করার মেকানিজম তৈরির দিকেও নজর দিচ্ছে না রাষ্ট্র। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আইনি সেবা পেতে সর্বস্তরে ভোগান্তির কারণে আর সামাজিক কারণে ধর্ষণের বেশিরভাগ ঘটনা এখনো আড়ালে রাখা হয়। তবে ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যাতে তা না হয় সে কথা বলছেন দেশের সচেতন মহল। অন্তত এ ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম হলে একটা প্রবাব পড়বে এবং এটা বর্তমান সময়ে জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, অনেক সময় আসামি পক্ষের ভয়ভীতি দেখানোর ও মামলার দীর্ঘসূত্রতায় বাদিপক্ষ মামলা চালাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ধর্ষণের ঘটনায় প্রায়ই সামাজিক ও পারিবারিক পরিসরে আপসের কথা শোনা যায়। তারপরও কেউ কেউ আছেন, যারা সুবিচার পাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালী বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্যোগেও সমঝোতা করেন ভিকটিম। মামলার ধীরগতি থেকে পরিত্রানের ব্যাপারে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালকে আরও গতিশীল করতে হবে। আসলে রাষ্ট্রপক্ষের দুর্বলতার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত বিচার হচ্ছে না। মামলার তদন্ত, অভিযোগপত্র দাখিল ও সাক্ষী হাজিরেই পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেন। ফলে বিচার বিলম্ব হয়। এ ব্যাপারে প্রসিকিউশনের অধীনে পুলিশের একটি নির্দিষ্ট ইউনিট করা যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। আমারসংবাদ/এসটিএমএ