মে ১৪, ২০১৬, ০৩:২৯ এএম
অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অনিদ্রা, কায়িক শ্রমের অভাব ইত্যাদির কারণে হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে আছে। বয়স যা-ই হোক না কেন, কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন বেশিরভাগ মানুষ। কোষ্ঠকাঠিন্যকে আপাতদৃষ্টিতে তেমন ভয়ানক সমস্যা বলে মনে না হলেও এ থেকে কিন্তু হতে পারে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হোন। কৃত্রিম ওষুধপত্রের চেয়ে প্রকৃতিতে থাকা ওষুধই বেশি কাজে দেয় এক্ষেত্রে। জেনে নিন ৩টি আয়ুর্বেদিক উপায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অব্যর্থ।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণঃ
১. আঁশজাতীয় খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূল কম খেলে;
২. পানি কম খেলে;
৩. দুশ্চিন্তা করলে;
৪. কায়িক পরিশ্রম, হাঁটা-চলা কিংবা ব্যায়াম একেবারেই না করলে;
৫. অন্ত্রনালীতে ক্যান্সার হলে;
৬. ডায়াবেটিস হলে;
৭. মস্তিষ্কে টিউমার হলে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে;
৮. অনেক দিন বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে বিছানায় শুয়ে থাকলে;
৯. বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন, যেমনঃ
ক. ব্যথার ওষুধ;
খ. উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ;
গ. গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ;
ঘ. খিঁচুনির ওষুধ এবং
ঙ. যেসব ওষুধের মধ্যে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামজাতীয় খনিজ পদার্থ থাকে। তা ছাড়া স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোনের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার জন্যও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এর মধ্যে কাঁপুনিজনিত অসুখ, স্নায়ু রজ্জু আঘাতপ্রাপ্ত হলে, কিডনির দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা ও থাইরয়েডের সমস্যা উল্লেখযোগ্য।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণঃ
১. শক্ত পায়খানা হওয়া;
২. পায়খানা করতে অধিক সময় লাগা;
৩. পায়খানা করতে অধিক চাপের দরকার হওয়া;
৪. অধিক সময় ধরে পায়খানা করার পরও পূর্ণতা না আসা;
৫.মলদ্বারের আশপাশে ও তলপেটে ব্যথার অনুভব করা এবং
৬. আঙুল কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে পায়খানা বের করা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়ঃ
১. প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে একটি খোসাসহ পুরো আপেল খান। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক কাপ কুসুম গরম পানি পান করুন। এটা হজমে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করবে।
২. বড় ১টি সাদা এলাচ এক কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালবেলা এই এলাচটি থেঁতো করে দুধসহ খেয়ে ফেলুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাটি যদি ভয়াবহ রকমের বেশি হয় তাহলে সকাল ও রাতে একইভাবে দুধসহ এলাচ খান।
৩. এ নিয়মটি সহজ আবার একটু কষ্টসাধ্যও বটে! রাতের শোবার আগে এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। বাম কাত হয়ে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে চিত হয়ে শোন। হাত দুপাশে রেখে পা উপর দিকে ওঠাতে থাকুন। যতটুকু পারেন। এবার ধীরে ধীরে পা নামিয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকবার করলেই আপনার টয়লেট পেয়ে যাবে। আর যদি এতেও কাজ না হয় তাহলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন। এরপর আবার পা ওঠা-নামা করতে থাকুন।