জুলাই ১৭, ২০২২, ০৭:২৮ পিএম
নীল চোখের সুন্দরী ঐশ্বরিয়ার বয়স এখন ৫০ ছুঁইছুঁই। বয়সের ভার কিংবা মাতৃত্ব কোনো কিছুই যেন তার সৌন্দর্যকে কমাতে পারেনি এক বিন্দুও। কীভাবে এ অসম্ভবকে সম্ভব করছেন একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছেন তার রূপের রহস্যের কথা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মিস ওয়ার্ল্ড খ্যাত এ বিশ্ব সুন্দরী বয়সকে জয় করতে কোন কোন বিষয়গুলো মেনে চলেন, আসুন জেনে নিই সে গোপন রূপ রহস্যকে।
১. চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঐশ্বর্য সব সময় মাথার স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখেন। আর ত্বকের যত্নে নিয়মিত করেন ক্লিনজার। এরপরই চুল ও ত্বকে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে নিতে কখনই ভোলেন না এই বলিউড নায়িকা।
২. সৌন্দর্য হারিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে তিনি দায়ী করেন ডিহাইড্রেটেড ত্বককে। তাই পর্যাপ্ত পানি করা নিশ্চিত করে সব সময়ই ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে চেষ্টা করেন তিনি।
৩. পাশাপাশি একটি সঠিক ও সুষম খাবারের ওপরও জোর দেন ঐশ্বর্য। খাবারে ভিটামিন ও কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবারকে তিনি সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।
৪. রূপচর্চায় প্রয়োজনীয় ফেসপ্যাকের জন্য তিনি বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টের ওপর নির্ভর করেন না। বরং ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ফেসপ্যাক নিজেই তৈরি করে ব্যবহার করেন ঐশ্বরিয়া।
৫. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে বেসন, দুধ, মধু, টক দই এবং হলুদের মিশ্রণে ফেসপ্যাক বেশি ব্যবহার করেন এ বলি নায়িকা।
৬. তবে বাজারের জনপ্রিয় ডাই ফেসমাস্ক ব্যবহার করা পছন্দ করেন তিনি। এতে কম সময়ে অনেকটাই আকর্ষণীয় করে তোলা যায় নিজেকে।
৭. ত্বকের যত্ন নিতে ভালোবাসেন এ বিশ্বসুন্দরী। তাই তিনি অ্যারোমাথেরাপিতেই ভরসা করেন বেশি। এতে শরীর ও মন দুটিই একসঙ্গে ভালো রাখা যায়।
৮. অ্যারোমাথেরাপিতে ক্যামোমাইল, ইউক্যালিপটাস, স্যান্ডেলউডের মতো এসেনশিয়াল অয়েলগুলোই বেশি ব্যবহার করেন ঐশ্বর্য।
৯. তবে সৌন্দর্য ধরে রাখার এ সব চেষ্টাই ব্যর্থ হবে যদি আপনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাই যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা মুক্ত থোকতে চেষ্টা করুন। আর এসবের সম্মিলিত চেষ্টাতেই চিরসবুজ ত্বক পেতে পারেন বলে মনে করেন এই সুপারস্টার।