ডিসেম্বর ১৫, ২০২২, ০৭:৪০ পিএম
দেশে প্রতিনিয়ত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় ৫৪ কোটি মানুষ। যার মধ্যে ৯৫ শতাংশই রোগী ভোগেন ‘টাইপ-২’ ডায়াবেটিসে। একটু বেশি বয়সে এই ধরনের ডায়াবেটিস হয়। এর হাত ধরেই জন্ম নেয় কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা।
বিশেষ করে ডায়াবেটিস থাকলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। সে জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
অনেকে সঠিক সময়ে বুঝতে পারেন না, যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। কারণ অধিকাংশ সময় ডায়াবেটিস রোগীর অজান্তেই আক্রান্ত করে। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে দ্রুত রোগ নির্ণয় করাটা জরুরি। ডায়াবেটিসে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। ওষুধ তো আছেই, সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হয় পরিবর্তন। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে ভালো।
অনেকেরই ধারণা, বয়স বাড়লে বোধহয় ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধারণা একেবারে ঠিক নয়। এখন অনেকেই কমবয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধলে উপসর্গ দেখা দেয়। তখন অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যান পরীক্ষা করাতে। কিন্তু এই রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে প্রতি ছয়মাস পর পর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
কোন বয়সে রক্তে শর্করার মাত্রা কত হওয়া স্বাভাবিক? ছয় বছরের নীচে শিশুদের রক্তে শর্করার মাত্রা ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে হওয়া উচিত। ছয় থেকে ১২ বছরের শিশুদের রক্তে শর্করার মাত্রা ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে হওয়া উচিত। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের রক্তে শর্করার মাত্রা ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে হওয়া উচিত। ২০ বছরের উপরে যাদের বয়স, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর নীচে থাকাই ভালো।
এবি