Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪,

আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধি স্বাভাবিক কিনা জানবেন যেভাবে

ডাঃ নিহার পারেখ

ডাঃ নিহার পারেখ

জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম


আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধি স্বাভাবিক কিনা জানবেন যেভাবে

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, তাদের শারীরিক বৃদ্ধি পিতা মাতার জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের একটি বিষয়। শারীরিক বৃদ্ধি বলতে আমরা বুঝি, বাচ্চাদের উচ্চতা, ওজন এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তন যা তারা পরিণত হওয়ার সাথে সাথে ঘটে। কিন্তু অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের উচ্চতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন থাকেন। তারা মনে করেন যে, তাদের সন্তান খুব ছোট বা খাট কিনা, তারা আরও বাড়বে কিনা অথবা ভালো উচ্চতা হবে কিনা।

হাড়ের বয়স নির্ধারণের জন্য এক্স-রে: হাড়ের বয়স নির্ধারণের জন্য একটি এক্স-রে বা হাড়ের বয়স অধ্যয়ন এমন একটি সরঞ্জাম যা ডাক্তাররা একটি শিশুর কঙ্কাল সিস্টেমের পরিপক্কতা অনুমান করতে ব্যবহার করে। ড. পারেখের মতে, একবার বিকিরণের খুব কম সংস্পর্শে আসলে, বাবা-মা নির্ধারণ করতে পারেন তাদের বাচ্চাদের উচ্চতা বৃদ্ধি স্বাভাবিক কি না।

তিনি বলেন, একটি সাধারণ এক্স-রে করার জন্য নেওয়া হয় বাম কব্জি, হাত এবং আঙ্গুল। হাড়ের বয়স নির্ধারণের জন্য একে এক্স-রে বলা হয়। সেই এক্স-রে রেডিওলজিস্টদের কাছে থাকা স্ট্যান্ডার্ড টেমপ্লেন্টগুলির সাথে তুলনা করা হয় এবং তারা আপনাকে একটি রিপোর্ট দিবে যাতে এক্স সংখ্যার হাড়ের বয়স দেখাবে।

কিভাবে হিসাব করবেন?
আপনার সন্তানের এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়ার পর, কীভাবে গণনার সাথে এগিয়ে যেতে পারবেন তা হলো- আপনার সন্তানের বয়স ধরুন, যদি হাড়ের বয়স আপনার সন্তানের বয়সের দুই বছরের মধ্যে বা তার কম হয়, তাহলে আপনার চিন্তার কিছু নেই। এর মানে হল যে আপনার সন্তানের কঙ্কাল এখনও বড় হয়নি, তার বেড়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এবং আপনার সন্তানের অতিরিক্ত বৃদ্ধির হরমোনের প্রয়োজনে চিকিৎসাগতভাবে কিছু ভুল নেই।

কিন্তু যদি হাড়ের বয়স এবং আপনার সন্তানের প্রকৃত বয়সের মধ্যে পার্থক্য ২ বছরের বেশি হয়, তখন আপনি মনে করবেন যে, একটি মেডিকেল সমস্যা আছে এবং আপনাকে আজই আপনার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বা একজন এন্ডোক্রিনোলজিস্টের কাছে এটির সমাধান করতে হবে।

অন্যান্য সুবিধা 
হাড়ের বয়সের জন্য এই এক্স-রেটি আপনাকে জানতেও সাহায্য করবে যে আমার সন্তানের বয়ঃসন্ধি কখন শুরু হবে। আমার সন্তানের সর্বোচ্চ উচ্চতা কত হতে পারে। সুতরাং এটি একটি অত্যন্ত দরকারি বিষয়।

লেখক: ডাঃ নিহার পারেখ, 
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, ভারত
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া

কেএস

Link copied!