নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ০১:১৫ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক তারকা মেগান রাইস ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলের নৃশংসতার মধ্যেও ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা ও পবিত্র কোরআন পাঠ তার ইসলাম গ্রহণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) টিকটকের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা জানান।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইসলামিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি টিকটকে গাজা যুদ্ধের একটি ভিডিও শেয়ার করেন মেগান। সেখানে তিনি এতো ধ্বংসযজ্ঞের পরও ফিলিস্তিনিদের অটল বিশ্বাসে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
ওই ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে অনেকেই লেখেন, গাজাবাসীর এই দৃঢ়তার পেছনে রয়েছে তাদের ‘ধর্মীয় বিশ্বাস’। আর এই বিষয়টিই মেগানকে খুব বিস্মিত করে। ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য শত শত মানুষ কীভাবে জীবন দিতে পারেন ও শত নির্যাতনের পরও কীভাবে এমন অটল থাকতে পারে- এমন প্রশ্ন জন্মায় মেগানের মনে। তা থেকেই ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ হয় তার।
পরবর্তী সময়ে মেগান নানা মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু পশ্চিমাবিশ্বে সঠিক তথ্য পাওয়া দুষ্কর বিধায় ইসলাম সম্পর্কে নানা প্রবন্ধ-নিবন্ধ পড়লেন। তবে অত ভালো কোনো তথ্য পেলেন না। আর যা পেলেন, সেগুলো তার বিশ্বাস হলো না।
মেগান ভাবলেন, যে বিশ্বাসের জন্য অনুসারীরা হাসিমুখে জীবন দিয়ে দিতে পারে, সেই ধর্ম এতোটা নেতিবাচক হতে পারে না। সেজন্য তিনি আরও বিস্তৃত অনুসন্ধান শুরু করেন ও ইসলামের পবিত্রগ্রন্থ কোরআন পড়া শুরু করেন।
তার দাবি, তিনি যতই কোরআনের গভীরে প্রবেশ করেন, তার বিস্ময় আরও বেড়ে যায়। তিনি একে একে কোরআনের নানা ঘটনা পড়েন ও সাম্যপূর্ণ বিধান দেখতে পান। একপর্যায়ে তিনি অনুভব করলেন, ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান সত্যিই অনেক কম ছিল।
কোরআন পড়ার আগে তিনি ইসলাম বলতে কেবল বুঝতেন, কোনো বাধা ছাড়াই ইসলামে নারীদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো যায়। আবার ইচ্ছা হলেই পুরুষ তার তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ফিরিয়েও নিতে পারে। এছাড়া ইসলামে তেমন কোনো স্বাধীনতা নেই।
কিন্তু কোরআন পড়ার পর তার পুরো ধারণা পাল্টে যায়। ধীরে ধীরে ইসলামের সৌন্দর্যে তিনি এতটাই মুগ্ধ হন যে, পবিত্র এ ধর্মকে আলিঙ্গণ করে নেন।
পরে মেগান স্বীকার করেন, ইসলাম সম্পর্কে তার পূর্বের ধারণা পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। কোরআনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কোরআনের নীতিগুলো তার আদর্শ ও বিশ্বাসের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘটনার পর একটি ভিডিওতে মেগানকে শাহাদাহ পাঠ করতে ও প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণ করতে দেখা যায়। সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন
এইচআর