পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে একের পর এক কাণ্ডে রবিবার (২৬ জুন) সেতু কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় সোমবার ভোর ৬ টা থেকে কোন মটোর সাইকেল সেতুতে উঠতে পারবে না। এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বাইকাররা জোর করে পদ্মা সেতু পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় তাদের জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
সোমবার (২৭ জুন) সকালে দেখা যায়, সেতু পার হতে না দেওয়ায় বাইকাররা মোটর সাইকেল ফেলে রেখে টোল প্লাজা বন্ধ করে দেয়। ফলে কোনো গাড়ি যেতে টোল অতুক্রম করতে পারছিল না।
বাইকাররা দাবি করছেন, নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তারা জানতেন না। না জেনে বাইক নিয়ে এসে আটকা পড়েছেন।
এ সময় অনেককেই পিকআপ ভ্যানে করে বাইক নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, সেতুর ওপারে কাজ আছে। সরকার সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেতু তো পার হওয়া দরকার। এ কারণে পিকআপে করে এই কায়দায় পার হচ্ছি।
কথা হলে তারা জানান, বাইক নিয়ে সেতু পার হতে পারছেন না তারা। কিন্তু ওপারে যেতেই হবে। এজন্য পিকআপ ভ্যানের আশ্রয় নিয়েছেন। সেতু পার করে ওপারে বাইকগুলো নামিয়ে দেওয়া হবে।
বাইক প্রতি কত নেওয়া হচ্ছে? জানতে চাইলে একজন জানান, প্রতি বাইকের জন্য ৪০০টাকা করে দিতে হচ্ছে।
এদিকে বিক্ষোভরত বাইকারদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে হাইওয়ে ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ। এ সময় অনেক বাইকারকে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা গেছে।
এদিকে বাইকের চাপ সামাল দিতে অস্থায়ীভাবে একটি ফেরিতে প্রায় ৩০০ মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা নাদী অতিক্রম করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সেতুর মাওয়া প্রান্তে গতকাল সন্ধ্যায় একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, সোমবার (২৭ জুন) ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। সেতু বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কী কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণও জানা যায়নি।
ইএফ