মানসিক হতাশা থেকেই সাংবাদিক সোহানা পারভীন তুলি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।
তার আত্মহত্যার পেছনে কারও প্ররোচনা রয়েছে কিনা-সে বিষয়টি তদন্ত করতে তুলির দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে তুলির কোন দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তা পুলিশ প্রকাশ করে নি।
এ বিষয়ে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, তুলির দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে তাদের এখনো আটক করা হয়নি।
তিনি আরো জানান, তুলির মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে, ঘটনার দিনের আগের দিন মঙ্গলবার এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কথোপথন হয়েছিল।
বন্ধুর মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে দেখা গেছে, তার অবস্থানও একই এলাকা রায়েরবাজার। ওই বন্ধু তুলির ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন কি না কিংবা তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কী ধরনের কথোপথন হয়েছিল—এসব বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
এর আগে ডিএমপির ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘ওই বাসার কেয়ারটেকার একটি মোটরসাইকেলের নম্বর দিয়েছেন। ওই নম্বরের মোটরসাইকেলে এক যুবক আসতেন তুলির বাসায়।
ওই নম্বরটি আমরা বিআরটিএতে পাঠিয়েছি। কেয়ারটেকারের দেওয়া মোটরসাইকেলের নম্বরের আগে ঢাকা মেট্রো ‘হ’ বা ‘ল’ না থাকার কারণে প্রকৃত ব্যক্তিকে বের করতে একটু জটিলতা রয়েছে। এর বাইরে তুলির ফোন নম্বরের সূত্র ধরেও ওই যুবককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ’
আলামত জব্দ করতে আসা সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবধরনের আলামত সংগ্রহ করেছি। এসব আলামত ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। এরপর প্রতিবেদন দেওয়া হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। ’
বুধবার বিকেলে রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকার শেরেবাংলা সড়কের একটি বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে তুলির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তার গ্রামের বাড়ি যশোর সদরের বটতলায়। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে হাজারীবাগের এই বাসায় একাই থাকতেন। এ ঘটনায় আপাতত হাজারীবাগ থানায় একটি ইউডি মামলা করেছে পরিবার।
আমারসংবাদ/টিএইচ