চুয়াডাঙ্গায় নিষিদ্ধ পাবজি গেমস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে গিয়ে বিভিন্ন জেলার ১২০ জন কিশোর ও যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে পাবজি গেমসের আয়োজক ১২ জন ও ১০৮ জন খেলোয়াড় রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাবজি গেমস প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চুয়াডাঙ্গার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হন তারা।
এদের মধ্যে ২৪ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যদের বয়স কম হওয়ায় তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ।
এ ধরনের একটি অবৈধ আয়োজনে বিপুলসংখ্যক খেলোয়াড়ের উপস্থিতির ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলির দৌলাতদিয়াড় এলাকার তাসনীম নুর কমিউনিটি সেন্টারে পাবজি গেমস চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করে এলাকার ১২ জন কিশোর ও যুবক। বুধবার সকালে তারা ওই সেন্টারে জড়ো হন। দেশের প্রায় সব জেলা থেকে পাবজি গেম প্রতিযোগিতায় ১০৮ যুবক ও কিশোর অংশ নেন।
খবর পেয়ে পুলিশ তাসনীম নূর কমিউনিটি সেন্টারে বুধবার দুপুরে অভিযান চালায়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রিক ডিভাইস, নগদ টাকা, খেলার পুরস্কার, রাইটারসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করে।
দুপুরে আটককৃতদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের ২৪ জনকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূইয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক প্রত্যেককে দুদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। বিকালে তাদের জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। বাকি ৯৬ জনের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।
নিষিদ্ধ পাবজি গেমস প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলার ১৯টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেকটি দলে অংশগ্রহণ করে ৪ জন করে।
পুলিশ জানায়, পাবজি গেমসের প্রধান আয়োজক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা পাড়ার মুহাই আলীর ছেলে মেহরাব ও চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিসপাড়ার সাহিন মাহমুদের ছেলে সাদমান সারার।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহব্বুর রহমান বলেন, দেশের প্রায় সব জেলা থেকে এসব কিশোর ও যুবক নিষিদ্ধ পাবজি গেম প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চুয়াডাঙ্গায় এসেছিল।
ইএফ