চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারে বাংলাদেশের পাওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা আরও ১ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ পণ্যই কোনোরকম শুল্ক ছাড়া দেশটিতে রফতানি করা যাবে।
ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন শাহরিয়ার আলম।
শাহরিয়ার আলম বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলাদেশি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে তার দেশ বাংলাদেশকে আরও ১ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে। এতে বাংলাদেশ তার রফতানি পণ্যের মোট ৯৯ শতাংশই শুল্ক ছাড়া চীনে রফতানি করতে পারবে।
এই সুবিধা চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, বৈঠকে চীনের সঙ্গে ৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মেরিন সায়েন্স শিক্ষা বিষয়ক একটি চুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয় একটি চুক্তি, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে।
এছাড়া ঠিক কী বিষয়ে অপর চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপর একটি চুক্তির বিষয়ে লিখিতভাবে জানানো হবে।
এদিন সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ওয়াং ই বৈঠকে বসেন।
দুদিনের সফরে শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন ওয়াং ই। এদিন বিকেল ৫টার দিকে তাকে বহনকারী প্লেনটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরের প্রথম কর্মসূচিতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ওয়াং ই। এরপরে আজ রোববার (৭ আগস্ট) তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পর এই প্রথমবারের মতো চীন থেকে উচ্চপর্যায়ের একজন রাজনৈতিক নেতা দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকা এলেন। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরেও ঢাকা এসেছিলেন ওয়াং ই। তবে সেটি ছিল রোহিঙ্গা বিষয়ে।
ইএফ