জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও গণ পরবিহনের অতিরিক্ত ভাড়া কমানোর দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (০৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গণপরিবহনে অস্বাভাবিক বাড়ানো ভাড়া কমানোসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়ে জনগণের সাথে প্রহসন করা হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে জনগণ প্রতিটি ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়েছে।
বর্তমানে গণপরিবহনের ভাড়াও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বহন করা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রসহ সবকিছুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নিশ্চিত করতে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিও জানান তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, গণ পরিবহনে অবৈধ ওয়েবিল পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। গণপরিবহনে ভাড়ার নামে নৈরাজ চলছে, তা বন্ধ করতে হবে। পরিবহন মালিকদের ওয়েবিলে ব্যবহারের কারণে নির্ধারিত ভাড়ার প্রায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি টাকা গুনতে হয় যাত্রীদের। বছরের পর বছর এই ওয়েবিল নৈরাজ্য চলে এলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার। ওয়েবিল যেন যাত্রীদের গলার কাঁটা। অবিলম্বে এটি বন্ধ হওয়া দরকার।
তাদের দাবিগুলো হলো —
১। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে।
২। এক পয়সাও গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না।
৩ । গণপরিবহনে ভাড়ার নামে নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে, সাথে সকল শিক্ষার্থীর হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে।
দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকিও দেওয়া হয়।
আমারসংবাদ/টিএইচ