উদ্বোধন ২০২৩ সালে

‘শাহজালালের থার্ড টার্মিনালের ৪৪ শতাংশ কাজ শেষ’

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২, ০৭:২২ পিএম
‘শাহজালালের থার্ড টার্মিনালের ৪৪ শতাংশ কাজ শেষ’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ৪৪.১৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। 

তিনি বলেছেন, দেশের অন্যতম এই মেগা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা যাবে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

মাহবুব আলী বলেন, আগামী অক্টোবরে ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়ে যাবে। তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হলে বছরে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা হবে ২২ মিলিয়ন। 

অ্যাপ্রোন পার্কিং হবে ৪৬টি। বর্তমানে অবকাঠামোগত কারণে আমরা বিমানবন্দরে ফুল সার্ভিস দিতে পারি না।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে বিমানবন্দরে কোনো অসঙ্গতি উঠে আসলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তা সমাধান করি। যাতে কোনো যাত্রী হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করি। আগামী দিনে তৃতীয় টার্মিনালসহ এক ও দুই নম্বর টার্মিনালের সেবার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয়, সে বিষয়ে কাজ করছি।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে দুই কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে। 

বিদ্যমান অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর হওয়ায় তখন যাত্রীরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।

থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি।

তখন সমস্ত নিয়ম ও শর্ত পরিপালন করে যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন তারাই এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদান করা, তার জন্য করণীয় সকল কাজ করা হবে।

তৃতীয় টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, থার্ড টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে কোনো ধরনের আপস করা হযনি, ভবিষ্যতেও হবে না।

দরপত্রে উল্লেখিত মানের পণ্যই এই প্রকল্পের কাজে সরবরাহ নেয়া হবে, অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করা হবে না। রাষ্ট্রের বা জনগণের এক পয়সা ক্ষতি হয় এরকম কোনো কিছু এখানে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, মহিদুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।

 

টিএইচ