জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবী করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে৷ কোনো সহিংসতা বা গোলোযোগ হয়নি। আমরা সন্তুষ্ট। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভোট হয়েছে।` গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন যে বার্তা দিয়েছিল সেটা জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ৫৭ জেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এই কথা বলেন।
কয়েকটি জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সিসি ক্যামেরার ভোটের পরিবেশে প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, `গাইবান্ধায় সিসি ক্যামেরায় আমাদের পর্যবেক্ষণ ছিল। তবু অনিয়ম হয়েছে৷ সেখান থেকে হয়ত একটা ম্যাসেজ এসেছে। যদি কেউ গুরুতর অনিয়ম করে তাহলে ভোট বন্ধ।`
জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার কথা ভাবা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, `এ বিষয়ে এখনও ভাবছি না।`
গাইবান্ধা নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, `গাইবান্ধা নির্বাচনের বিষয়ে তদন্ত হবে৷ তারপর সিদ্ধান্ত।`
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশের ৫৭ জেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে নির্বাচন ভবনের ৪১৩নং কক্ষে অবস্থান নেন ইসির কর্মকর্তারা। সেখান থেকে সরাসরি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনও একইভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্যরা। সেদিন বেশ কিছু কেন্দ্রে অনিয়ম দেখা যায়। একেএকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। পরে দুপুর নাগাদ পুরো নির্বাচনই বন্ধ ঘোষণা করেন সিইসি৷
ইএফ