আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, `রাত ১-২টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে দেশের মাঝামাঝি এলাকায় অর্থাৎ ঢাকা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছানোর পর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে,`। দেশের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছানোর পরে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, `রাত ৯ টায় ভোলার ভেতর দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্নিঝড় সিত্রাং। পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করবে। উপকূল অতিক্রমের সময় এটি সাইক্লোন রূপে থাকলেও, পরে জলভাগ ও স্থলভাগের ইন্টারেকশন এবং বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে এটি ক্রমশ দূর্বল হতে থাকবে।`
এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগও (আইএমডি) এটিকে আর `তীব্র ঘূর্ণিঝড়` বলছে না।
সোমবার রাতে আইএমডির সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে এবং তখন এটি বরিশাল থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার হতে পারে বলা হলেও, আইএমডি এখন বলছে এটি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার হতে পারে।
বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দ্বীপের মধ্যে স্থলভাগের আঘাতের পর ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ, নিম্নচাপ এবং নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে আইএমডি জানিয়েছে।
ইএফ