পিএসসির সামনে টানা এগারোতম দিনের মতো পিএসসি’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ৪০ তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। `পূর্বের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগ চাই` দাবি লেখা সম্বলিত `টি শার্ট` পরে প্রার্থীরা আজ প্রতিবাদ জানায়।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) ১২ টার পর প্রার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে পিএসসি’র সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যায়।
অফিস শেষে পিএসসির চেয়ারম্যান মহোদয় বের হওয়ার সময় প্রার্থীরা আজও স্লোগানে স্লোগানে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে তবুও পিএসসি চেয়ারম্যান কোনো কর্ণপাত না করে পুলিশ প্রটেকশনে বের হয়ে যান ।
৩০ অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টানা এগারো (১১) দিন পিএসসি’র সামনে লাগাতার অবস্থান ও ০৪ নভেম্বর শুক্রবার শহিদ মিনারে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদসহ টানা ১২ দিন কর্মসূচি পালন করেও পিএসসি থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি প্রার্থীরা।
৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নন-ক্যাডার নিয়োগে পূর্বের নিয়মে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল সোমবার সকাল ১১ টা থেকে আবারও পিএসসির সামনে এসে অবস্থান নিয়ে আলপনা আঁকা, পথনাটক প্রদর্শনসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন প্রার্থীরা।
৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার তালিকার অপেক্ষমাণ প্রার্থীবৃন্দদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো
১) যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নাই, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
২) বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার এর পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে সুতরাং তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
৩) করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করতে হবে।
৪) যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ, ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হবে।
৫) বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসি মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে’ এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেতার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬) বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
ইএফ