বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার ১৪ এবং ১৮ সালের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৩৩টি দল শান্তিপূর্ণভাবে যুগপৎ আন্দোলন করছে। এতেই বর্তমান সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সরকার ১৪ এবং ১৮ সালের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে দুদু বলেন, তারা এক সময় কেয়ারটেকার সরকারের আন্দোলনের নামে সারা বাংলাদেশে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে। তখন বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। সে সময় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াত ইসলামী, তথাকথিত বামপন্থী সংগঠিত হয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই, এমন কোনো নাশকতা নেই তারা করেনি। এতে প্রমাণিত হয় তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতার জন্য যখন যেটা প্রয়োজন সেটা করে। তাদের রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতার রাজনীতি।
তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকলে যে রকমভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে এ রকম গণতন্ত্রের কথা মনে হয় আর কেউ বলে না। ক্ষমতায় যাওয়ার পরে আগের সব কথা ভুলে যায়। তারা ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে দীর্ঘ ১৪ বছর যে ক্ষমতার ঘটনা আমরা দেখতে পেরেছি, এতো নির্দয়, নির্মম, পৈশাচিক শাসন গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের মানুষ দেখেনি। আমরা মনে করি বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য। এজন্য যুদ্ধ হয়েছে, মানুষ রক্ত দিয়েছে।
বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, পাকিস্তান আমলে সামরিক শাসক হোক, কর্তৃত্ববাদী শাসক হোক, স্বৈরাচারী হোক গণতন্ত্রের সঙ্গে যে যখন প্রতিযোগিতা করেছেন তারা পরাজিত হয়েছেন। সেজন্য আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী দিনে বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন, মামলা থেকে নেতা কর্মীরা মুক্ত হবেন, স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা অবশ্যই কামিয়াব হবেন, গণতন্ত্রের আন্দোলন সফল হবে।
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানান শামসুজ্জামান দুদু। পাশাপাশি বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সব মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার করারও দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান ও ওমর ফারুক।
এবি