- উদ্ধোধনের পর চালু ছিল মাত্র ৩০-৩৫দিন
- বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছেন শত শত মানুষ
- শৌচাগারের সামনে ফেলা হচ্ছে ময়লা
- টয়লেট ঘিরে গড়ে উঠেছে পিকআপ স্ট্যান্ড
- খোলা রাখার দাবি স্থানীয় ও পথচারীদের
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উদ্ধোধন হয় কালশী মোড় পাবলিক টয়লেট। কোরিয়ান রেড ক্রস ও ওয়ার্ল্ড টয়লেট এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় নির্মিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এ পাবলিক টয়লেটটি তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। উদ্ধোধনের পর টয়লেটটি সর্বসাকুল্যে চালু ছিল মাত্র ৩০-৩৫দিন। একদিকে গণশৌচাগারটি বন্ধ অন্যদিকে দুই তিন কিলোর মধ্যে কোন পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারীরা।
সরেজমিনে জানা যায়, মিরপুর কালশী এলাকার চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ায় প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছেন। কালশি মোড় এলাকায় তিন বছর আগে নির্মাণের পর এক মাসের বেশি সময় চালু ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। প্রথম ইজারাদার উদ্ধোধনের পর মাত্র একমাস এই গণশৌচাগারটি চালু রাখার পর তা বন্ধ করে দেয়। পরের ইজারাদার এই পাবলিক টয়লেটটি ঘষামাজা শেষে রং করার পর মাত্র দুই থেকে তিনদিন চালু রাখে। এরপর আর তা খোলা হয়নি। সবমিলিয়ে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ চালু ছিল এই শৌচাগারটি।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পাবলিক টয়লেটির মালামাল নষ্ট হচ্ছে এবং ভিতরে ধুলাবালি জমে তা একাকার হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি শৌচাগারটির সামনে আশপাশের দোকানিরা সবসময় ময়লা-আবর্জনা ফেলাচ্ছেন। অথচ পাবলিক টয়লেটের পেছনেই রয়েছে ডিএনসিসির ডাস্টবিন। আবার এই পাবলিক টয়লেটের আশপাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে পিকআপ স্ট্যান্ড। ফলে ভাসানটেক যাওয়ার এই সড়কটি প্রায় দখল হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, মিরপুরে উন্নয়ন কাজ চলায় বেশকিছুদিন সড়কটি বন্ধ ছিল। এতে লোকজনও কম ছিল। এখন সড়কটি চালু হয়েছে এবং যাতায়াতও বাড়ছে। প্রতিদিন শতশত মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছেন। অথচ দুই তিনকিলোর ভিতরে কোন টয়লেট নেই। এতে অনেকেই চরম কষ্টে পড়ছেন।
রিমন নামের এক মোটরচালক বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরা যাবো। পথিমধ্যে আমার স্ত্রীর টয়লেটের প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু পাবলিক টয়লেটটিতে এসে বন্ধ পায়। এখন খুবই বিপাকে পড়ে গেছি। দ্রুত খোলার দাবি তার।
পিকআপ চালক সৌরভ আমার সংবাদকে বলেন, আমাদের পিকআপ স্ট্যান্ড থাকায় এখানে সবসময় থাকা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তালা মেরে রাখা হয়েছে পাবলিক টয়লেটটি। ফলে প্রতিদিন শতশত লোক এসে ফিরে যাচ্ছেন। টাকা কম বা বেশি রাখুক অন্তত চালু রাখুক। এতে সবারই উপকার হয়।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেএম