রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে এক নারী ও তার দুই যমজ মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ বলছে, মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ওই নারী নিজেই দুই মেয়েকে নিয়ে ঘরবন্দি হয়েছিলেন। রোববার ভোরে ৪ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়কের ওই ভবনের দোতলা থেকে তাদের উদ্ধার করে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, মধ্য ত্রিশের শাফানা আফিফা শ্যামী পৈত্রিকসূত্রে বাসাটি পান। তার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া দুই মেয়ের বয়স ১০। মানসিক অসুস্থতাজনিত কারণে শ্যামী কাউকে বিশ্বাস করতেন না।
সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত এ নারীর সঙ্গে নানা কারণে স্বজনদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়, যে কারণে তারাও খোঁজ রাখছিলেন না। নিজের রোজগার না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।
এসব কারণে অভিমানে শ্যামী শিশুদের নিয়ে অনাহারে ঘরবন্দি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে স্বজনরা ধারণা দিয়েছেন পুলিশকে।
উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজাহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রোববার ভোরে পুলিশ ওই ভবনে যায়। ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল।
পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে তাদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ওই নারী ও তার দুই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। তারা অচেতন অবস্থায় ছিলেন। তাদের উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
উত্তরা পূর্ব থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাদের জ্ঞান ফিরেছে।