দৈনিক জনতার সম্পাদক, জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক আহসান উল্লাহর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, যুগন্তরের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ শ্রদ্ধা তার বিদেহী আত্মার প্রতি নিবেদন করেন।
জানার নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তিনি প্রেসক্লাব অন্তপ্রাণ ছিলেন। প্রতিদিন তিনি প্রেসক্লাবে আসতেন। তিনি খুব হাসিখুশি ছিলেন, সবার সঙ্গে মিশতেন এবং নিরহংকারী একজন মানুষ ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি প্রেসক্লাবের আড্ডায় বলছিলেন আমি একটি অনুষ্ঠান করব আমার সাংবাদিকার ৬০ বছর শেষ করলাম। আমরা বলছিলাম যে হ্যাঁ আমরাও আপনার সাংবাদিকতার এ বছরগুলো উদযাপন করব একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সেটি আমরা করতে পারলাম না। আজকে তাকে আমরা শেষ বিদায় জানাতে এসেছি।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সাংবাদিক আহসান উল্লাহ বাংলার বাণীতে ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি'র সাথে। তারপর তিনি ইত্তেফাকে ছিলেন। তিনি ১০ বছর ভারত বিচিত্রার সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক জনতার হিসেবে বিদায় নিচ্ছেন। তার একটি বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের, আমার বিভাগের বড় ভাই। সে হিসাবে তার সঙ্গে আমার এক অন্যরকম সম্পর্ক ছিল বড় সুলভ। আমার সঙ্গে দেখা না হলেও আমার রুমে যেতেন।
জাতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, তিনি সব সময় প্রেসক্লাবকে কিভাবে ভালো কিছু দেয়া যায় কি করা যায় সে চিন্তা করতেন। তিনি সবসময় হাশিখুশি থাকতেন।
উল্লেখ্য, মৃত্যুকালে আহসান উল্লাহর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। ৬১ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থাকা আহসান উল্লাহ দীর্ঘ সময় ধরে সম্পাদক হিসেবে দৈনিক জনতার দায়িত্ব পালন করেন।
এবি