নিজ এবং বাবা-মার নাম পাল্টে পলাতক ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ মাহমুদ (রনি)।মাদকের দুইটি মামলায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ের পর থেকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে আত্মগোপনে ছিল রনি (৩৫)।
সোমবার রাত ১২টায় কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
মঙ্লবার (২১) ফেব্রুয়ারি সকালে র্যাব-২ বসিলা মোহাম্মদপুর থেকে এ তথ্য জনান,সিনিয়র সহকারী এএসপি মোঃ ফজলুল হক।
এএসপি মোঃ ফজলুল হক জানান, বিগত ১১ এপ্রিল ২০১১ তারিখে ডিএমপি সবুজ বাগ থানায় রুজুকৃত মাদক মামলা এবং বিগত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে যাত্রাবাড়ী থানায় রুজুকৃত মাদক মামলার আসামী মোঃরাশেদ মাহমুদ রনি (৩৫) এর বিরুদ্ধে উক্ত থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ সালের ১৯(১) এর ৩(খ) এ মামলা রুজু হয়। আদালত উক্ত মাদক মামলা দুটির অবগত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমাণ সহ দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিশেষ দায়রা জজ ও বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩, ঢাকা দুইটি মামলায় যথাক্রমে ১৩ অক্টোবর ২০২০ সালে এবং ১৬ অক্টোবর ২০২২ সালে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
ফজলুল হক আরও জানান , আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ থেকে আমরা জানতে পারি , গ্রেফতারকৃত আসামী এক জন পেশাদার মাদক চক্রের সদস্য। তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, দস্যুতা ও মাদকের ০৪টি মামলা সহ সর্বমোট ০৬ টি মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি( রনি) দীর্ঘদিন ধরে বেআইনীভাবে সীমান্ত জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল রাজধানীর ঢাকায় নিয়ে এসে তার অন্যান্য সংঘবদ্ধ সহযোগীদের নিকট সরবরাহ পূর্বক মাদক ব্যবসা করে আসছিলো। ধৃত আসামি মামলা দুটিতে মোট ১৬ মাস জেল খেটেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায়।
এবি