রাজধানীতে ফুটপাত দখল করে অবৈধ ব্যবসা নতুন কিছু নয়। এতে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। এমনকি শিক্ষার্থীদেরও এর কারণে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ফুটপাত দখলে নিয়ে চলে ভাসমান এ ব্যবসা।
তবে ফুটপাতে ব্যবসায়ী হিসেবে যাদেরকে সরেজমিনে দেখা যায়, তারা দোকানের মালিক নয়, তাদের অধিকাংশই হচ্ছে কর্মচারী। তাদের অর্থ দিয়ে দোকান বসায় এলাকার প্রভাবশালীরা। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ অভাবী মানুষদেরক দিয়ে ফুটপাতের ব্যবসা করায় তারা।
বিনিময়ে কর্মচারিরা পায় দৈনিক অথবা সপ্তাহ হিসেবে পারিশ্রমিক। তবে যখন অভিযান চলে তখন এসব মূলহোতাদের দেখা যায়না। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় সাধারণ খেটে খাওয়া কর্মচারীদের। তাদের গুণতে হয় জরিমানা।
এদিকে বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় অভিযান চালায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিএনসিসির সিনিয়র সহকারী সচিব, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে বু্ল্ডুজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় ফুটপাত দখল করে থাকা ভ্যান, কাঠের তৈরি বিভিন্ন দোকান। হঠাৎ করে চালানো এ অভিযান দেখে অনেকটা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান সেখানে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা।
কথা হয় ভ্যানে ফল বিক্রি করা হালিমা বেগম (৪৫) এর সঙ্গে। তিনি বলেন, অভিযান স্থলে তাকে নির্ধারিত আইন অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আমি এ দোকানের কর্মচারী। আমার বাবা এখানে বসে, আমি তাকে সাহায্য করি। দোকান মালিক আরেক জন। জরিমানার টাকা পরিশোধ করা কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ফুটপাত দখলের কারণে সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীদের চলা ফেরায় ভোগান্তি হয়।এমনকি পরিবেশও নষ্ট হয় এসব অস্থায়ী দোকানের কারণে। ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আমরা প্রায়ই অভিযান চালিয়ে থাকি।
অভিযান শেষে আবারও ফুটপাতে দোকান বসানো হচ্ছে প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে মুনিরুজ্জামান বলেন, আসলে এটাই সমস্যা। তবে এদের (দোকান কর্মচারী) দোষ না। এদেরকে টাকা-পয়সা দিয়ে একধরনের পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা করে এলাকার প্রভাবশালীরা। এরাতো সামান্য কর্মচারী। এজন্য আমরা যতো বারই উঠিয়ে দেই, তারা আবারও নতুন করে দোকান বসায়।
আতিফ/এআরএস