ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়, পরিচালক (উন্নয়ন) ও পরিচালক (কারিগর)—এই দুটি পদ ওয়াসার অর্গানোগ্রামে না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির এমডি প্রভাব খাটিয়ে দুজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। আর চার বছরের বেশি সময় ধরে তাদের বেতনবাবদ এক কোটি ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৮০ টাকা দেওয়া হয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ হওয়ায় এই পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মের একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন কর্মকর্তা দাখিল করেছেন। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। সব ঠিক থাকলে মামলার সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।
দুদক সূত্র জানায়, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান, এমডিসহ সাতজন সদস্য এবং চাকরি গ্রহণকারী দুজন মিলিয়ে মোট ১০ জনকে মামলায় আসামি করার সুপারিশ করা হয়েছে।
দুদক সূত্রমতে, ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর একাধিকবার সময় বাড়িয়ে ওই পদে আছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বারবার নিয়োগবিধি অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে।
তবে, এসব অভিযোগের বিষয়ে তাকসিম এ খান একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমি এক টাকাও হারাম খাইনি।
এইচআর