সাংবাদিকতার উন্নয়নে কাজ করা আর্ন্তজাতিক সংস্থা গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (জিআইজেএন) এর চোখে আমার সংবাদের “তথ্য ফাঁসে জড়িত ৩১ চক্র” প্রতিবেদন জুলাই মাসের আলোচিত হিসেবে নিউজ লেটারে স্থান পেয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালেও আমার সংবাদের প্রতিবেদন জুন মাসের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হিসেবে স্থান পায় জিআইজেএন এর বাংলা বুলেটিনে। দীর্ঘ দিন ধরে করা দু’টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেন দৈনিক আমার সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক বেলাল হোসেন ও মেহেদী হাসান মাসুদ।
মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) জিআইজেএন এর ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে আমার সংবাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিভাগে প্রথম আলোর “সরকারী ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত তথ্য, যেভাবে প্রতারণার শিকার ৫ কর্মকর্তা” প্রতিবেদনটি স্থান পায়।
আমার সংবাদ এবং প্রথম আলোতে ছাপা প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষের জন্ম নিবন্ধন তথ্য ইন্টারনেটে মিলছে জানিয়ে টেকক্রাঞ্চ খবর প্রকাশের পরপরই দৈনিক প্রথম আলোর আরেক প্রতিবেদনে দেখা যায়, একটি সরকারি পোর্টালে হাজার হাজার মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফোন নম্বর উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে।
দৈনিক আমার সংবাদের আরেক অনুসন্ধানে বলা হয়, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল ফোন নিবন্ধনের জন্য দেওয়া বায়োমেট্রিক তথ্য বেচাকেনা হচ্ছে। চক্রটি এই কাজে এনআইডির জন্য নির্দিষ্ট করা নম্বর, ১০৫ থেকে তাদের গ্রাহকদের কাছে বার্তাও পাঠাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালে জুলাই মাসের নিউজ লেটারে আমার সংবাদে “জলে যেতে বসেছে শত কোটি টাকা” প্রকাশিত প্রতিবেদনটি জুন মাসের সেরা প্রতিবেদন হিসেবে জিআইজেএন উল্লেখ করে। প্রতিবেদনটিতে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারী প্রাথমিক স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরার মেশিন কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানটি করে আমার সংবাদ।
এইচআর