‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’কে ধারণ করে ২৫ বছরে পদার্পণ করলো দেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল, ‘চ্যানেল আই’। পথ চলার ২৪ বছর পূর্ণ করে ১ অক্টোবর থেকে ২৫ বছরের পথচলা শুরু করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রথম প্রহর রাত ১২.০১ মিনিটে কেক কাটার মধ্য দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে জন্মদিন উদযাপন শুরু হয়। এরপর সকাল ১১.০৫ মিনিটে লাল-সবুজ বেলুন উড়িয়ে ও কেক কেটে দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।
চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে কেক কাটায় সমাজের বরেণ্যজন এবং শুভানূধ্যায়ীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি., চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক পর্ষদ সদস্য মুকিত মজুমদার বাবু এবং জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন। এরআগে কোটি মানুষের ভালোবাসা সাথে নিয়ে ২৫শে পা রাখার প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১মিনিটে চ্যানেল আই পরিবারের সদস্যরা প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে কেক কেটে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ভাগ করে নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকসহ বিশিষ্টজনেরা।
২৫ বছরের পথচলা প্রসঙ্গে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘চ্যানেল আইয়ের পঁচিশ বছর, আমাদের পঁচিশ বছর, আপনাদেরও পঁচিশ বছর। আপনারা সবসময়ই সঙ্গে ছিলেন, সঙ্গে থাকবেন এটাই প্রত্যাশা।’ শাইখ সিরাজ বলেন, ‘গত ২৪টি বছর বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে এই চ্যানেলটি ছিল। চব্বিশ বছরে চ্যানেল আইয়ের দর্শক বেড়েছে। দর্শকের দৃষ্টি এখনও চ্যানেল আইতেই আছে।’ দিনব্যাপি চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে আগত অতিথিরা উপভোগ করেন সরাসরি অনুষ্ঠানে গান, নাচ, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন পরিবেশনা।
ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন বলেন, বাংলাদেশের রঙ লাল-সবুজ। চ্যানেল আইয়ের উচ্ছ্বাস, উৎসাহ শক্তি লাল সবুজে। তাই চ্যানেল আইয়ের সিগনেচার টিউনে বলা হয়, সবার চেয়ে দেশ বড়। আমরা প্রতিটি অনুষ্ঠানেই দেশকে বড় করে দেখছি। আমরা আপনাদেরকে আমাদের আপন মানুষ হিসেবে দেখতে চাই আগামী দিনগুলোতেও।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, প্রকৃতিপ্রেমী এবং ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘২৪ বছর আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি বলেই এই পর্যন্ত এসেছি। বাকি সময়টা ভালোবাসা যেন আরও বেড়ে যায়, আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারি এই প্রত্যাশা রইলো।’
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণিল ক্ষণে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডুসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারগণ, সুশিল সমাজ এবং বিভিন্ন অঙ্গণের বিশিষ্টজনেরা। চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ, শিল্পপতি, শিক্ষাবীদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, অভিনয়শিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, সুশিল সমাজসহ বিভিন্ন অঙ্গণের বিশিষ্টজনেরা। এ উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে দেশের জাতীয় দৈনিকসহ জেলা ভিত্তিক সংবাদপত্রগুলো। দেশের বিভিন্ন জেলায় আনন্দ র্যালি এবং আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদের ৭ সদস্যের পক্ষ থেকে দর্শকশ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। ২৪ বছরের মতো আগামীর দিনগুলোতে সারা পৃথিবীর কোটি কোটি বাঙালির সৃজনশীল কাজের সাথে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন তারা।
সন্ধ্যা ৭টায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এর অংশগ্রহণে কেক কেটে চ্যানেল আই এর জন্মদিন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, চিত্রনায়ক আলমগীর, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, মে.জে. সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, এ্যাম্বাসেডর নাসিম ফেরদৌস, রাশেদ খান মেনন এমপি, ড. নাইমা, বিএনপি চেয়ার প্রর্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ডালি ও হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. বদিউল আলম, অপু উকিল, নাজমা আক্তার, ড. কামাল চৌধুরী, ড. শামসুল আলম এমপি, বিজিএমএ সভাপতি ফারুক হাসান, সিনিয়ার সাংবাদিক এমএ আজিজ, শিক্ষাবীদ ড. মুনিরা খান, নাজমুল হক প্রধান, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন ও সারোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী নেতা হেলাল উদ্দিন, নুরজাহান বেগম মুক্তা, সাবেক রাষ্ট্রদূত শফিউল্লাহ, লেয়াকত আলী ভূঁইয়া, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি., চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ইমপ্রেস গ্রুপ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মুকিত মজুমদার বাবু ও জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন প্রমুখ।
চ্যানেল আই ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে। দুই বছর পর এদিন চালু হয় সংবাদ। আর ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে চ্যানেল আই অনলাইন।
আরএস