১০ জনকে আসামি করে মামলা হলেও চারদিনে গ্রেপ্তার ১

ফেসবুকে লেখালেখির অভিযোগ তুলে মৌলভীবাজারে যুবক খুন

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম
ফেসবুকে লেখালেখির অভিযোগ তুলে মৌলভীবাজারে যুবক খুন

মৌলভীবাজারে ফেসবুকে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে রেজাউল করিম নাঈম (২১) নামের এক যুবক খুন হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে একজনকে। 

গ্রেপ্তারকৃতের নাম সাইমন ইসলাম (২১)। তিনি মামলার পাঁচ নম্বর আসামি। নিহত নাঈম জেলার সদর উপজেলার ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের বর্ষিজোড়া গ্রামের বাসিন্দা চেরাগ মিয়ার ছেলে এবং মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। 

নাঈমের মামা শাহরুখ মিয়া জানান, ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে নাঈমের বাবা চেরাগ মিয়ার সাথে পাশের বাড়ির রনির বাবা নুরুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রনি ও তার বাবা নুরুল মিয়াসহ কয়েজন মিলে নাঈমের বাবা ও মায়ের পর হামলা চালায়। পরে নাঈম ও তার বোন এগিয়ে আসলে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় নুরুল ও তার ছেলেসহ হামলায় জড়িত অন্যরা। ঘটনাস্থল থেকে নাঈমকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন বুধবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে নাঈমের মৃত্যু হয়। 

নাঈমের বাবা আমার সংবাদকে বলেন, এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানেন তিনি। তবে বাকি আসামিদের সবাই পলাতক রয়েছে। 

জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা মূলত আমার বাড়িতে ডাকাতি করতেই হামলা চালায়। তার আগেই আমার ছেলে মেয়েরা আহত হওয়ায় ভয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। ফেসবুকে লেখালেখির যে কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। তারা আমার বিরুদ্ধেই ফেসবুকে লেখালেখির কথা বলছে। অথচ আমি এ ধরণের কিছুই করিনি। 

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী আমার সংবাদকে বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

নাঈমকে হত্যার কারণ হিসেবে ফেসবুকে লেখালেখি কথা বলিবলা হচ্ছে, এ বিষয়ে আপনারা কিছু জানতে পেরেছেন কীনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শুনেছি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষেই সঠিক তথ্য জানাতে পারবো।

আরএস