ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের ১১টি স্থাপনা পুলিশ-র্যাব দ্বারা দখল অবস্থায় ছিল। আমরা এ যাবৎ চারটি স্থাপনা দখলমুক্ত করতে পেরেছি।
আমাদের একটা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র দখল আবস্থায় ছিল। তারা সেটা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। লালবাগে আমাদের আরেকটি স্থাপনা র্যাব ছেড়ে দিয়েছে। সেটাতেও আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।’
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধলপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৪ ও ৫ তলা বিশিষ্ট দুটি ভবনে দক্ষিণ সিটিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের এই স্থাপনাগুলো ২০০৮ সাল হতে র্যাব কর্তৃক দখল অবস্থায় ছিল। আমরা এটাকে প্রথমে দখলমুক্ত করি। তারপর সংস্কার করে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারলাম।
ফলে দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময়ে জনগণ, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তারপরেও আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিষ্ঠার সাথে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো চালু হওয়ায় জনগণের আর ভোগান্তি থাকবে না।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা সুশাসন নিশ্চিত ও (প্রশাসনিক) সংস্কার করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম। ডিএসসিসি অন্তর্ভুক্ত নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে তার একটি নজির স্থাপন করতে পেরেছি। স্থাপনাগুলোও দখলমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা প্রতিনিয়তই তাদের সাথে দেন-দরবার ও আলোচনা করছি।’
অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, ‘আমাদের নতুন ৫টি অঞ্চল ৩০ জুলাই ২০১৭ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সংলগ্ন এলাকাগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনেছিলেন। এর দীর্ঘ ছয় বছর পরে সেসব অঞ্চলের জন্য আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করছি। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ৫টি অঞ্চলের জন্য অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দার আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ এবং করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এইচআর