বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়া মডেলের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের আমন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক জেজ কৌলসন। তিনি বলেন, আই ফাউন্ড দ্য নর্থ কোরিয়া মডেল হিয়া’র।
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আঙিনায় গণমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি। সারাদিন রাজধানী ঢাকার ৮টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। প্রচুর মানুষ। কেন্দ্রের চারপাশে তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া চলাফেরা। অনেক যায়গায় তারা আমাকে পেয়ে ঘিরে ধরেছেন। আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, তোমরা ভোটার কি না? তোমাদের হাতে ভোটার শনাক্তকরণ চিহ্ন কই? তারা আমাকে সে চিহ্ন দেখাতে পারেনি। অনেক লোক কিন্তু খুব কমই তাদের মধ্যে ভোটার।
জাজ কৌলসন আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুব অতিথি পরায়ণ তারা আমাকে আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি বলেছি আমি ভোট দেখতে এসেছি। আমি আমার কাজ করছি।
জীবনের প্রথম এখানে অনেক শিশুদের ভোট দিতে দেখেছি। এটা খুবই কৌতুহলের বিষয়। ‘আই ফাউন্ড হিয়া’র লং লাইন বাট মিনিমাম ভোটার্স। আই থিংক দিস মে অন পার্টি ইলেকশন। নো অপজিশন। আই ডাজন’ট ফাউন্ড এনি কম্পিটিশন হিয়া’র। বাট দ্য রুলিং পার্টি লিডার্স, সাপোর্টার্স ওয়্যার ভেরি একটিভ।
তিনি আরো বলেন, যারা ভোট বর্জন করেছে তাদেরকে কোথাও আমি খুঁজে পাইনি। কোনো কেন্দ্রেই ভোটারদের বাঁধা দিতে দেখিনি। আমি শুনেছি রাশিয়া ও চায়না এই নির্বাচনকে সমর্থন করে। আমিতো এখানে কোনো গণতন্ত্র দেখি না।
সারাদিনে যতগুলো কেন্দ্র আমি ঘুরেছি তাতে আমার ধারণা ৬ থেকে ৮ শতাংশ ভোট কাস্ট হতে পারে। এর বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। সেই পরিমাণ ভোটারদের অংশগ্রহণ আমি পাইনি।
এইচআর