ঢাকার উপকণ্ঠ পূর্বাচল কাঞ্চন ব্রিজে পাশে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আগামীকাল রোববার থেকে এখানেই বসছে দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। এবারের মেলায় ব্যবসায়ীদের স্টল ও দর্শনার্থীদের প্রবেশমূল্য দুটিই বাড়ছে।তোড়জোড় চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতির ।
এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, রূপপূর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হয়েছে বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটক।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০ ক্যাটাগরিতে থাকছে ৩০০টি স্টল, ২৩টি প্যাভিলিয়ন। থাকছে ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নও। বিদেশি স্টল আছে ১২টি। অত্যাধুনিক শিশু পার্কের ব্যবস্থাও এবার থাকছে।
বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ঠিকানা পূর্বাচলে তৃতীয়বারের মতো দেশ–বিদেশের ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা মিলিত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাসব্যাপী এ মেলা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। উদ্বোধনের আগে মেলা প্রাঙ্গণে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতির তোড়জোড়।
আজ শনিবার প্রদর্শনী কেন্দ্র গিয়ে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে নেয়া হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বাণিজ্য মেলার ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হল ছাড়াও এর সামনে–পেছনে দেখা গেল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল নির্মাণের কাজ।
মেলার মূল প্যাভিলিয়নের ভেতর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির আদলে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। গতকাল বিকেলেছবি: প্রথম আলো
সাধারণত ১ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু হলেও এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সময় পেছানো হয়েছে।
মেলার নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি মেলা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য রাজধানীর ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আলাদা বাস ছাড়বে। মেলায় আসতে ফার্মগেট থেকে ৭০ টাকা ও কুড়িল থেকে ৩৫ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হবে দর্শনার্থীদের।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার জানান,পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে ভোগান্তি কমালেও এশিয়ান হাইওয়ের নির্মাণকাজ চলমান থাকায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে,সমস্যা সমাধানে তাঁরাও ভেবেছেন। তবে যানজট এড়াতে বিকল্প সড়কগুলো সচল রাখছেন।
ইপিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছর বাণিজ্য মেলায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া মেলায় ৩০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশও পাওয়া যায়। মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিল। এ বছর দর্শনার্থী ও লেনদেন দুটিই বাড়বে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।
আরএস